বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
আবুল বাশার পলাশঃ ইতিহাস আর ঐতিহ্যের পরিক্রমায় কালোত্তীর্ণ মহিমায় আর বর্নিল দিপ্তিতে ভাস্বর অপার সম্ভাবনায় ভরপুর গাজীপুর। ইতিহাসখ্যাত ভাওয়াল পরগনার গহিন বনাঞ্চল আর গৈরিক মৃত্তিকা ঘোষের ডেক টিলায় দৃষ্টি নন্দন ঐতিহাসিক এ জনপদ। ১৯৮৪ সালে ১ মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।এই জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জ জেলা,দক্ষিণে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ জেলা,পূর্বে কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদি জেলা এবং পশ্চিমে ঢাকা টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত। মুগুল ব্রিটিশ পাকিস্তান আমলে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে গাজীপুরের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা।১৯৭১ সালে ১৯ মার্চ মহান মুক্তিযুদ্ধের সুচনা পর্বে এই গাজীপুরের মাটিতেই সংগঠিত হয় প্রথম সহস্র প্রতিরোধ যুদ্ধ। এখানে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন সদর দপ্তর,বহু সংখ্যক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান,ক্ষুদ্র মাঝারি ও ভারি শিল্প কারখানা সহ দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিরাট একটি অংশ। এমন কি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ ও ছিলেন এই গাজীপুরের। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে নেই গাজীপুরও, এখানে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে, তার মধ্যে সাস্থ্য সেবা খাতের উন্নয়ন অন্যতম, ব্যপক পরিবর্তন ঘঠিয়ে উন্নত সাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে বর্তমান সরকার। শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবন মেরামতের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী ও নতুন ভবন নির্মান করা হয়েছে।চিকিৎসার মান উন্নয়নের মধ্য দিয় ইতি মধ্যেই হাসপাতালটি চিকিৎসা সেবায় বেশ সুনাম অর্জন করেছে। আর এই বিশেষ অর্জন ও অবদানের অংশ হিসেবে ওত প্রত ভাবে জরিয়ে আছেন এক জন যার কথা না বললেই নয়।তিনি হলেন গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহম্মেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর ষ্টোর অফিসার নাজিম উদ্দিন। তিনি ১০/১১/২০১৫ সালে ষ্টোর অফিসার হিসেবে যোগদান করে অদ্ববদি পর্যন্ত সততা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি বলেন আমি যতদিন এই হাসপাতালে কর্মরত আছি কখনো নিতির কাছে হার মানি নি,এখন আমার চাকুরীর শেষ সময় চলে আসছে,তার পরও যতদিন ছিলাম ও আরো যে কয়দিন আছি অত্র মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।তিনি আরো জানান তার কর্মকান্ডে হাসপাতালের কতৃপক্ষ সহ সকলেই সন্তুষ্ট। হাসপতালের কয়েকজন কর্মরত ষ্টাফদের সাথে কথা বললে তারা জানায় নাজিম উদ্দিন স্যারের মত সৎ,দক্ষ ও পরিশ্রমিক ষ্টোর অফিসার খুব কমেই দেখেছি,যার কোন তুলনা হয়না। বাংলাদেশের প্রতিটি হাসপাতালে তার মত অফিসার দরকার।এবং আমরাও চাই নাজিম উদ্দিনের মত ব্যক্তি তার সততা,সুনাম ও সৎ কর্মের মাধ্যমে যেন প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে বেচে থাকে চিরদিন।